হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ:

বিয়ে সংক্রান্ত মতবিরোধ নিয়ে বাপের সাথে অভিমান করে টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে এক রোহিঙ্গা কিশোরী। পুলিশ ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

জানা যায়, ১৯ ডিসেম্বর ভোরে উপজেলার হ্নীলা নয়াপাড়া রেজিষ্টার্ড শরণার্থী ক্যাম্পের সি-ব্লকের এমআরসি নং-০৫৩০৩, শেড নং ৮১৩/৩নং এর বাসিন্দা আবুল কাশেমের মেয়ে নুর বেগম (১৭) এর মৃত দেহ গলায় ফাঁস ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এই মৃত্যুর ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোন ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে কারও সাথে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় পারিবারিক বাধার কারণে এই ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে। ঝুলন্ত মৃত দেহের হাতে মুঠোফোন থাকায় এই মৃত্যু নিয়ে আরো সন্দেহ দেখা দিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে।

এ ব্যাপারে নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পুলিশের দায়িত্ব প্রাপ্ত আইসি এসআই আশরাফ হোসেন বলেন ‘পিতার সাথে অভিমান করে এই রোহিঙ্গা কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে’।

এদিকে স্থানীয় একটি সুত্রে জানা গেছে, আত্মহননকারী নুর বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী এক রোহিঙ্গা যুবকের গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যা পরিবারের সকলেই জানেন। কিন্তু এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার জন্য মা-বাবা কথাবার্তা পাকাপোক্ত করে মালয়েশিয়া পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য সিদ্বান্ত নেয়। অবুঝ নুর বেগম স্বপ্নের পুরুষ ব্যতিত মা-বাবার এই সিদ্বান্ত মেনে নিতে না পেরে এই আত্মহননের পথ বেঁচে নিয়েছে।